চাঁদপুরে অর্ধশতাধিক গ্রামে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল আযহা
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
০৬-০৬-২০২৫ ১২:৫৫:৫৪ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
০৬-০৬-২০২৫ ০২:২৩:১৫ অপরাহ্ন
ছবি: সংগৃহীত
চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার ঐতিহাসিক সাদরা দরবার শরীফের অনুসারীরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে শুক্রবার (৬ জুন) ঈদুল আযহা উদযাপন করছেন। জেলার অর্ধশতাধিক গ্রামে আজ ঈদের জামাত ও কোরবানির আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হয়।
সকাল সাড়ে ৭টা থেকেই হাজীগঞ্জের সাদরা দরবার শরীফ মাঠে জড়ো হতে থাকেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। নতুন পোশাক, আতরের সুগন্ধ আর উৎসবের আমেজে পূর্ণ হয়ে ওঠে সাদরা, অলিপুর, বলাখাল, প্রতাপপুরসহ আশপাশের বহু গ্রাম। প্রথম ঈদ জামাতটি অনুষ্ঠিত হয় দরবার শরীফ মাঠে, যেখানে ইমামতি করেন পীরজাদা মাওলানা মুফতি জাকারিয়া চৌধুরী।
এরপর সকাল ৮টায় দ্বিতীয় জামাত হয় সাদরা হামিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা মাঠে, যেখানে ইমামতি করেন মুফতি আরিফ চৌধুরী। নামাজ শেষে মুসল্লিরা একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। পরে দরবার শরীফসহ আশপাশের এলাকায় শুরু হয় কোরবানির আনুষ্ঠানিকতা।
প্রথমবারের মতো গোপালগঞ্জ থেকে আগত মুসল্লি সাইফ জানান, আমি এখানে এসে নামাজ আদায় করেছি, পরিবেশটা একেবারে অন্যরকম। খুব ভালো লাগছে, ভবিষ্যতে আবার আসার ইচ্ছে আছে।
স্থানীয় যুবক ইমাম হোসেন বলেন, গতকাল ছিল আরাফার দিন, যা সারা বিশ্বের মুসলমানদের জন্য এক। সেই হিসেবে আজ ঈদুল আযহা পালন করছি।
চাঁদপুরের বাইরে পাশের ফরিদগঞ্জ উপজেলার টোর মুন্সীরহাট, সাচনমেঘ, উভারামপুরসহ বিভিন্ন গ্রামেও সকাল ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে একাধিক ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। একইভাবে শাহরাস্তি, কচুয়া, মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামেও দরবার শরীফের অনুসারীরা ঈদ উদযাপন করেন।
তবে এসব এলাকার বড় একটি অংশ শনিবার (৭ জুন) সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঈদুল আযহা উদযাপন করবেন।
দীর্ঘ ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় চাঁদপুরে এই আগাম ঈদ উদযাপন হয়ে আসছে। ১৯২৮ সালে সাদরা দরবার শরীফের পীর মাওলানা ইসহাক (রহ.) সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপনের রীতি চালু করেন। আজও তাঁর হাজার হাজার অনুসারী সেই প্রথা মেনে চলে আসছেন। চাঁদপুর ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলায় এই অনুসারীদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ, শাহরাস্তি, কচুয়া এবং মতলব উপজেলার অন্তত ৫০টির বেশি গ্রামে আজ ঈদ উদযাপনের খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য গ্রামের তালিকায় রয়েছে সাদরা, বলাখাল, মনিহার, গল্লাক, ভুলাচোঁ, মুন্সিরহাট, শোল্লা, গোবিন্দপুর, মোহনপুর, দশানী ও পাঁচানি প্রভৃতি।
বাংলা স্কুপ/প্রতিনিধি/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স